টানা তিনদিনের ছুটিতে ঘরমুখো লোকজনের প্রচুর চাপ পড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি যাত্রী ও যানবাহন চলে আসায় ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জানজট। দুই ঘাটেই পারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে শতশত যানবাহন। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও শ্রমিকরা।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, পাটুরিয়া ঘাটের সমস্যা নিত্যদিনের। এখানে নেই মানসম্পন্ন খাবারের হোটেল, পয়োনিস্কাশনের ব্যবস্থা।
রাজবাড়ীর দিলিপ সাহা (৭৩) নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ঘাটের যন্ত্রণার জন্য বাড়ি আসা ছেড়েই দিয়েছিলাম। সন্তানদের চাপে বাড়ি যাচ্ছি। কতক্ষণে বাড়ি যেতে পারব ভগবানই জানেন। উভয় ঘাটে যাত্রীবাহী বাস, অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি ও পচনশীল মালামালের ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হয়।
আটকে পড়া ট্রাক চালকরা অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত টাকা দিলে সিরিয়াল ছাড়া পার হওয়া যায়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে দুইপাড়ে মাত্র দুইটি ঘাট আর ফেরি মাত্র তিনটি। তিনদিনের ছুটির কারণে অতিরিক্ত যাত্রী ও ছোট গাড়ি পার হচ্ছে। যার কারণে এ নৌরুটে যানবাহন আটকে পড়েছে। অন্য সময় খুব সমস্যা হয় না। ফেরি ও ঘাটের সংখ্যা বাড়লে সমস্যা থাকবে না। আগে দালালরা চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতো।
পুলিশ ৫ দালালকে আটক করার পর থেকে এখানে দালালের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমেছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মহীউদ্দিন রাসেল বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে। ২০টি ফেরি সচল থাকলেও শতশত যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ