পঞ্চগড়ে এক নারীর দায়ের করা মামলায় কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই নারী।
রবিবার স্থায়ী জামিনের জন্য এসআই জলিল পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পন করেন। পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসআই জলিল পঞ্চগড় সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৩ জানুয়ারি আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তিনি উচ্চ আদালতে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। গত কয়েকদিন আগে জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে হাজির হন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এক নারী। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামা করে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন।
পরে ভুক্তভোগী নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২৩ জানুয়ারি (রবিবার) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মাদ শাহরিয়ার বলেন, এসআই জলিল ছুটিতে আছেন। তার মামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল