লালমনিরহাটে মোটর শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধে ঢাকাগামী নৈশ্যকোচের যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েন।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালমনিরহাট পুলিশ লাইন্সের পাশে বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিনের পুরাতন কমিটি দিয়ে চলছে লালমনিরহাট বাস মিনিবাস শ্রমিক সংগঠন। পুরাতন কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সম্পাদক বুলবুল শ্রমিকদের কার্যালয়ের জন্য ক্রয় করা জমি গোপনে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠে।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পুরাতন ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্তের দাবিতে রবিবার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শ্রমিকরা। এতে বর্তমান কমিটি বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ জন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় বিকেলে শিফাত হোসেন মুন্না নামে একজন সাধারণ শ্রমিক বাদী হয়ে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদকে প্রধান করে ৬ জনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এরই জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বর্তমান কমিটির নেতাদের সমর্থকদের একাংশ শ্রমিক শহরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। মিছিল থেকে হঠাৎ কয়েকজন বিছিন্ন হয়ে বিনিময় ফিলিংস স্টেশনের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে সাধারণ শ্রমিকরা রংপুর-লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় ঢাকাগামী নৈশ্যকোচ গুলোসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়ে এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম বিপাকে পড়ে নৈশ্যকোচের যাত্রীরা।
অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামান হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে রাত ১০টার দিকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
মারুফা জামান জানান, অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে সাধারণ শ্রমিকরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যোগাযোগ সচল রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
