আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। ১৩ বছর আগে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪০ ডলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। যার জন্য প্রত্যেকটি মানুষ সুখে আছে, শান্তিতে আছে, পেটে ভাত আছে। তারা এখন শান্তিতে ঘুমায়।
সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আজম বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের জন্য উর্বর জায়গা। এটা বঙ্গবন্ধুর জন্য উর্বর, শেখ হাসিনার জন্যও উর্বর। বৃহত্তর ময়মনসিংহে যদি আমরা বিজয়ী হতে না পারি, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে পারে না। সেই বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ। যে কিশোরগঞ্জ নিয়ে আমরা বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষ মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারি। কারণ এই কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম। যিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ জেলা সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের কিশোরগঞ্জ। যিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন পাঁচবার। আজকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনিও কিশোরগঞ্জের সন্তান। তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই কিশোরগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার পর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেতা ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। আমাদের অত্যন্ত গর্বের এই কিশোরগঞ্জ। আমি একজন বৃহত্তর ময়মনসিংহের সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করি।
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগের মধ্যে তো নয়ই, সারা বাংলাদেশের কোনো জেলায় দীর্ঘ ২৫ বছর, ২৭ বছর, ২০ বছর ও ১৮ বছর ধরে থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় না। এ ধরনের সাংগঠনিক দুর্বলতা বাংলাদেশের কোথাও নেই। এমনটা হবে আমরা কেউ আশা করতে পারি না। আওয়ামী লীগের কেউই সেটা আশা করতে পারে না।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. কামরুল আহসান শাহজাহানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার।
সভায় কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ আফজলসহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই