ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘর টিএন্টি এলাকায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মুন্নি (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গুরুতর আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার অষ্টগ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে।
এ ঘটনায় আহত মুন্নি স্বামী আনিছ মিয়াসহ একই পরিবারের দানিছ মিয়া (২৯), আলী মিয়া (৫৫), আল আমীন (২৭), তাসকিয়া (২০), তানজিনা (২৫) ও স্বপ্না বেগম (৩০) এর নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। গত ২৪ মার্চ দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘর টিএন্টি পাড়ার শাহজাহান মিয়ার ছেলে আনিছ মিয়ার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মুন্নির স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় তারা মুন্নিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে এবং বিভিন্ন সময় অনাহারে রাখে। গত ২৪ মার্চ মুন্নি তার স্বামীর বাড়িতে গেলে স্বামী আনিছ মিয়ার নির্দেশে তার পরিবারের অভিযুক্ত সদস্যরা ধারালো দা ও লোহড় রড় দিয়ে কুপিয়ে ও আঘাত করে গুরুতর আহত করে এবং হাত-পা বেঁধে ঘরের পেছনে ফেলে রাখে। সে সাথে বাড়িতে থেকে চলে না গেলে তার স্বামীকে অন্যত্র বিয়ে করানোর হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মুন্নিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
আহত মুন্নি জানান, তার দাম্পত্য জীবনে তিনি নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করা হয়। সবশেষ তাকে কুপিয়ে ও আঘাত করে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৪ মার্চ থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল