কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর বাবা কুট্টু মিয়া ও চাচা শামসুল আলম মিয়াকে তার সামনেই ‘কুখ্যাত রাজাকার’ বলে সম্বোধন করেছেন বরুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এন এম মইনুল ইসলাম। শনিবার বরুড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমন সম্বোধন করেন তিনি।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী। উপজেলা চেয়ারম্যানের বক্তব্য চলাকালে তিনি মঞ্চেই বসে ছিলেন। বক্তব্য শেষে হাততালির শব্দও শোনা যায়।
শনিবার বিকেলে তার বক্তব্যের এমন একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বরুড়া উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বক্তব্যের একটি অংশে উপজেলা চেয়ারম্যান এন এম মইনুল ইসলাম বলেন, বরুড়ার মাটিতে যার নেতৃত্বে রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী গঠন করা হয়েছিল তিনি হলেন আদ্রা ইউনিয়নের বিতর্কিত কুট্টু মিয়া। কুট্টু মিয়ার ভাই সিএসপি অফিসার শামসুল আলম মিয়া, যার নাগরিকত্ব দেশ বিরোধী অবস্থানের কারণে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বাতিল করেছেন। অথচ যাকে আজ অতিথি করা হয়েছে, তিনি আর কেউ নন সেই কুট্টু মিয়ার ছেলে শামসুল আলম মিয়ার ভাতিজা নাছিমুল আলম চৌধুরী। যে স্বাধীনতা বিরোধীরা মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে, ভাইদের পাখির মতো গুলি করে মেরেছে, শহীদদের রক্তে রঞ্জিত যাদের হাত, সেই রাজাকার পুত্রের হাতে সংবর্ধনা দেওয়া হলে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি কীভাবে মেনে নেব!
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এন এম মইনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অবশ্যই সত্য। তার চাচার নাগরিকত্ব বঙ্গবন্ধু বাতিলই করে দিয়েছেন। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, সে কারণে এটি আমাদের নলেজে আছে। মুক্তিযোদ্ধা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বইয়ের ৩৫ নম্বর পৃষ্ঠায় এর প্রমাণ আছে।
কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, যাকে রাজাকার বলা হয়েছিল, তিনি আমার বাড়ির সম্পর্কে চাচা হন। আমার বাবার বিষয়টি মিথ্যাচার। এটা আমার বক্তব্যে পরিষ্কার করেছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই