বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া নেয়া বাসায় অবৈধ গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুপুত্র ও প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে কথিত স্বামী জালাল উদ্দীনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে নিহতের ভাই তাজ উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মৃত ওই নারীর নাম মাফিয়া খাতুন (৩৬)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর আত্রাইয়ের গন্ড গোহালি গ্রামের মৃত কমেল আলী মন্ডলের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে মাফিয়া খাতুনকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগের একপর্যায়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন পার্শ্ববর্তী রানীণগর উপজেলার সিম্বা গ্রামের জালাল উদ্দীন নামের এক আদম ব্যাবসায়ি। দেড় বছর আগে তিনি স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের পান্নার মোড় এলাকায় ফেরদৌস মাহমুদের বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন তারা। স্বামী-স্ত্রী সেজে ওই বাসায় তারা নিয়মিত মেলামেশা করতেন। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মাফিয়া খাতুন।
অন্যান দিনের মতো গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই বাসায় আসেন কথিত দম্পতি জালাল ও মাফিয়া। ওই রাতে অবৈধ গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুপুত্র ও প্রসূতির মৃত্যু হয়। পরদিন শুক্রবার সকালে তাদের ভাড়া বাসা থেকে কথিত স্বামী জালাল উদ্দীনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ওই সময় বাসার মালিক ফেরদৌস মাহমুদ ও এক ভাড়াটেকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক রকিব হোসেন জানান, নিহত নারীর ভাই তাজ উদ্দিন আহমেদের দায়েরকৃত মামলায় জালালকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ