সিরাজগঞ্জে বুলবুলি বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী সুজন সেখ (২৬)-কে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। অপরদিকে, নিহত বুলবুলি খাতুনের মেয়ে সিনহা (১৮ মাস) ও ননদ তাসলিমা খাতুন (১৭) ডায়রিয়া জনিত কারণে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ মার্চ দিবাগত রাত ৩টায় দিকে বুলবুলির তীব্র মাথা ব্যাথা, বমি ও পেটে ব্যাথাসহ পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পাতলা পায়খানা উপক্রম বেশি দেখে বুলবুলির ভাসুর জহুরুল ইসলাম ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের পাশের ফার্মেসী থেকে ঔষধ এনে বুলবুলিকে খাওয়ায়। এতে বুলবুলি কিছুটা ভালো অনুভব হলে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন (২৫ মার্চ) সকালে বুলবুলি বেগম ঘুম থেকে উঠে গোসল করতে গিয়ে বাথরুমে পড়ে যায়। এরপর সুজন একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করলে পথিমধ্যে বুলবুলির পাতলা পায়খানা আরো বেড়ে যায়। ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জে আসার পথে একটি ক্লিনিকে বুলবুলিকে দেখালে চিকিৎসক তাকে স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বুলবুলি বেগমকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বুলবুলির অবস্থার খারাপ হলে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে ওই দিন বিকেলে তিনি মারা যান।
এদিকে তাদের সাথে অবস্থান নেওয়া বুলবুলী খাতুনের মেয়ে সিনহা, ননদ তাসলিমা খাতুনেরও ২৫ মার্চ সকাল থেকে ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব হয়। ২৫ মার্চ রাতে বমি ও ডায়রিয়া তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়ার কারণে দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাসলিমা খাতুন মেডিসিন ওয়ার্ডে ও সিনহা শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
নিহতের ননদ তাসলিমা খাতুন বলেন, ঢাকায় আমরা পানি ফুটিয়ে খায়নি। ট্যাপের পানি গন্ধযুক্ত ছিল। পানি খাওয়ার সময় বমি বমি ভাব হত।
আজ শনিবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, নিহতের বাবা মো. সুরুজ্জামান সেখ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ে করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। নিহত বুলবুলির স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ