শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মধ্যযুগীয় কায়দায় ভাতিজা নূর ইসলামকে (৩৫) দুই হাত বেঁধে বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নূর ইসলামকে উদ্ধার করে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তন্তর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন যাবত চাচা আলিমদ্দিনের সাথে ভাতিজা নূর ইসলামের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার সালিশ হলেও সুরাহা হয়নি। শনিবার দুপুরে আলিমদ্দিন ও তার স্ত্রী-ছেলে মিলে নূর ইসলামের বাড়িতে গিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা করে। এ সময় নূর ইসলাম বাধা দিলে তার দুই হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে তারই বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে গর্ত করে কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে। গতকাল বিকেলে ওই নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় নূর ইসলামের পরিবারের লোকজন চিৎকার করলেও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী আলিমদ্দিনের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে খবর পেয়ে বিকেল তিনটার দিকে থানা পুলিশ নূর ইসলামকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বর্বরোচিত এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষনিক অভিযুক্ত আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও ছেলে মুক্তার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে নূর ইসলামের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহামেদ বাদল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নুর ইসলামকে উদ্ধার করে। আর তিনজনকে গ্রেফতার করে আজ রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল