‘বাবা-মায়ের কাছে যাব। আমি এখানে কেন, কোথায় এসেছি? ’- এভাবেই কান্নাকাটি করছিল সাত বছরের কন্যা শিশু তানজিলা। সে বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে চায়। তার কান্না যেন থামছেই না। ঢাকার কমলাপুর এলাকার বৌদ্ধ মন্দিরের পাশের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত সে। তার বাবা ইব্রাহীম খলিল ও মায়ের নাম আমেনা খাতুন জোসনা। বাবার প্রসাধনী সামগ্রীর দোকান।
গত ২৩ মার্চ অপরিচিত দুই ব্যক্তি শিশুটিকে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাসস্ট্যান্ডে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় একটি হোটেল ব্যবসায়ী তানজিলাকে উদ্ধার করে রাতে খাবার খাইয়ে তার ঘরে আশ্রয় দেয়। পর দিন সকালে তানজিলা রনগোপালদী বাজারে এসে মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করলে স্থানীয় অগ্নিগাইন নামে এক পান ব্যবসায়ী তাকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে গেলে চেয়ারম্যান নাসির সিকদার বিষয়টি দশমিনা থানা পুলিশকে জানান। দশমিনা থানা পুলিশ মেয়েটির সব কথা শুনে তার ছবি তুলে রেখে অগ্নিগাইনের জিম্মায় দিয়ে দেন।
তানজিলা জানায়, গত ২২ মার্চ তানজিলাকে তার বাসার সামনে থেকে অপরিচিত দুই ব্যক্তি চিপস খাইয়ে অচেতন করে লঞ্চযোগে পটুয়াখালীর দশমিনায় নিয়ে আসেন। তানজিলা ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করলে ওই দুই ব্যক্তি তাকে উলানিয়া বাসস্ট্যান্ডে রেখে পালিয়ে যায়।
মেয়েটির জিম্মাদার অগ্নিগাইন বলেন, শিশুটি তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে কান্নাকাটি করছে। আমরা আদর যত্ন করে শিশুটির কান্না থামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, মেয়েটির পরিবারের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার পরিবারকে না পাওয়া গেলে শিশুটিকে সেফহোমে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর