সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালস্থ সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রবাস মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত হওয়া ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গাঁজা খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দু-গ্রুপের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অতন্ত ৭ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। এসময় একদল উৎশৃঙ্খল শ্রমিক বাস টার্মিনালের পাশে অবস্থিত বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবু আহম্মেদের পত্রিকা অফিস ও তার অনুসারী খুলনা রোড মোড় সংলগ্ন মিজানুরের মোবাইলের দোকান ভাঙচুর করে।
রবিবার বেলা ১২ টার দিকে সংঘটিত কয়েক দফা এই হামলায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনালের সামনের সড়কে দুটি বাস আড়াআড়ি করে দিয়ে আবু আহম্মেদ ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে সড়কের সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় ২ ঘণ্টা পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল টার্মিনালে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে রাস্তা থেকে বাসটি সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর হতে টার্মিনালে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ রবিউল ইসলাম জানান, নির্বাচনের স্থগিতাদেশ হওয়া আমাদের জন্য কাল হয়েছে। আমাদের উপরে হামলা হচ্ছে অথচ প্রশাসন নিরব রয়েছে।
সদর থানার ওসি গোলাম কবির জানান, টার্মিনালের উত্তেজিত পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাস চলাচল শুরু হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল