পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৫ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরি বিপ্লব মিস্ত্রীকে (৩৫) বৃহস্পতিবার আটক করেছে পুলিশ। আটক বিপ্লব মিন্ত্রী উপজেলার ৪নং মেদিরাবাদ (১) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী। উপজেলার মেদিরাবাদ গ্রামের যশোদা মিস্ত্রীর ছেলে অভিযুক্ত বিপ্লব মিন্ত্রী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরুন কুমার মিত্র জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে জোহরের নামাজ পড়ছিল ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। তখন একই কক্ষে অন্য এক শিক্ষার্থী শুয়ে ছিল। এ সময় বিপ্লব ওই কক্ষে ঢুকে নামাজরত শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থী দেখে ফেলায় বিপ্লব সাথে সাথে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরের দিন কয়েক শিক্ষার্থী বিষয়টি তাদের একটি নারী শিক্ষিকাকে অবহিত করে। ঘটনার দিন একটি মিটিং অংশ নেওয়ায় ওই দিন বিদ্যালয়ে ছিলেন না বলে জানান প্রধান শিক্ষক। তবে পরের দিন বিদ্যালয় ছুটির পর ওই নারী শিক্ষিকা বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। এরপর বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে একটি সালিশ বৈঠক করে বিপ্লবকে জুতাপেটা করা হয়।
তবে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে ফোন দিয়ে বিদ্যালয়ে পুলিশ ডেকে আনে। এরপর পুলিশ বিপ্লবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির বিষয়টি তিনি শুনেছেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভান্ডারিয়া থানার ওসি জানান, এ বিষয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে মামলা করবেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ