পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের ধনু নদের পানি যেনো ঠেলছে বাঁধগুলোকে। হাওরের খালিয়াজুরী উপজেলার ৫৫ কিলোমিটার বাঁধের সাত কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ।
সোমাবার সকাল থেকে ধনুর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে একই বাঁধের চার স্থান ধসে গেছে। এই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ উৎকন্ঠায় হাওরবাসী।
জমিতে এখনো কাঁচা রয়েছে অধিকাংশ ধান। যদিও কৃষিবিভাগ জানাচ্ছে অর্ধেক কাটা হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবে হাওরের চিত্র ভিন্ন।
কৃষকরা বলছেন, মাত্র ২৫ ভাগ ধান কেটেছেন তারা। তার উপর কাঁচা আধাপাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এফ এম মোবারক আলী জানান, হাওরের ধান ৬০ ভাগ কাটা শেষ। যা কৃষকের তথ্যের সাথে মিল নেই। তবে সকালে মদন উপজেলার ফতেপুর তলার হাওরের বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই বাঁধের ভেতরের ১২০০ হেক্টর ফসল থাকলেও শতকরা ৫ ভাগ ডুবেছে। কৃষকরা বলছেন কাঁচা ধান ৫ ভাগ কাটতে পারলেও বাকি সব তলিয়ে গেছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, এবছর জেলায় বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮শ ২৮ হেক্টর জমিতে। এর মাঝে হাওরেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর জমি।
কীর্তনখোলা বাঁধ পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, এখন হাওরের ৩৬৫ কিলোমিটার ডুবন্ত বাঁধের সবটাই ঝুঁকিপূর্ণ। ধনুসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত গতিতে। বাঁধের সমান সমান পানির লেভেল। বৃষ্টি হলেই উপচে হাওরে ঢুকবে পানি। এছাড়া আমরা আজ ১৬ দিন ধরে বাঁধগুলো টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন