বরিশালে মুগ ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে জেলার রহমতপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে (আরএআরএস) এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি এবং ডাল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আরএআরএসের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন।
আরএআরএসের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোস্তাক আহমেদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাজি উদ্দিন, কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক ও কৃষক রতন শরীফ প্রমুখ। মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে ৮০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারা দেশে উৎপাদিত মুগডালের ৮০ ভাগ উৎপাদিত হয় বরিশাল অঞ্চলে। এই অঞ্চলের মুগডাল রাপ্তানী হয় জাপানসহ বিভিন্ন দেশে। রপ্তানী স্বাভাবিক রাখতে রাসায়নিক সার ও কীট নাশকের ব্যবহার বাদ দিয়ে জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে কৃষকদের উদ্ধুব্ধ করতে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এবার ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমিতে মুগডাল আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ২৩ হাজার ১১০ হেক্টরে, পিরোজপুরে ৫ হাজার ৫১৮ হেক্টরে, ঝালকাঠিতে ২ হাজার ২৩০ হেক্টর, পটুয়াখালীতে ৮৬ হাজার ৪৩১, হেক্টর, বরগুনায় ৪৩ হাজার ১৫৫ হেক্টর এবং ভোলায় ৩০ হাজার ৩৪৫ হেক্টরে মুগ ডাল চাষ হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ