ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ছে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জেলার মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে।
শহরের মডার্ন মার্কেট, ক্লাব-সুপার মার্কেট, সেন্টু মার্কেট, সাটু হল মার্কেট, বাবু গিরিশ চন্দ্র মার্কেট, শহীদ সাটু কমপ্লেক্স, ডিসি সুপার মার্কেট ও তহাবাজার মার্কেট ঘুরে দেখা যায়— বিপনী বিতানগুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ঈদের পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে দোকানগুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভিড় বেশি থাকছে।
রমজানের প্রথম থেকে বাজারগুলোতে কেনাকাটা মোটামুটি শুরু হলেও দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বেচাকেনা বেড়েছে। ক্রেতা সমাগম বাড়তে থাকায় দোকানিরাও খুশি।
এবারের ঈদ বাজারে ক্রেতাদের জিন্স প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্ট, টি-শার্ট, শর্ট-শার্ট, পাঞ্জাবি ও থ্রি-পিসের চাহিদা রয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, তুলনামূলকভাবে এবার সকল পণ্যের দাম বাড়লেও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।
বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, লেহেঙ্গা, বুটিকস, চোষা, আড়ং, জিপসি, দেশীয় সুতি থ্রি-পিস, ভারতীয় থ্রী পিস, সারারা-জারারা এবারের মূল আকর্ষণ।
এবার ভাল মানের শাড়ি ফোর-প্লাই, মনিপুরি শাড়ি ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং লেহেঙ্গা ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা, সারারা-জারারা ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, সুতি থ্রি-পিস ১ হাজার ৫শ থেকে ৫ হাজার টাকা, ভারতীয় জিপসি ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার ৯শ টাকা, দেশীয় বুটিকস, চোষা, আড়ং ও কাতান থ্রি পিস ১৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি ৮শ’ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা, প্যান্ট ৮শ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা, ফতুয়া ৪শ টাকা থেকে ১২শ টাকা, বিভিন্ন ধরনের শার্ট ৮শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা, জুতা ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা এবং বাচ্চাদের বিভিন্ন পোষাক ৭শ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত দরে পাওয়া যাচ্ছে।
বহুল পরিচিত পোষাক ও কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মোশারফ থ্রী পিস হাউস, মোশারফ কিডস গ্যালারি, মোশারফ জেন্টস গ্যালারি, বাবলু গার্মেন্টস, পলাশ গার্মেন্টস, উৎসব, ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স, ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড, বাঁধন ফ্যাশন, ফ্যাশন গার্মেন্টস, থ্রি-পিস কালেকশন, বিসমিল্লাহ গার্মেন্টস, এক্সপোর্ট গ্যালারি, মা বস্ত্র এ্যান্ড গার্মেন্টস, আমেনা বস্ত্রালয়, রাজশাহী ফ্যাশন, মিলন গার্মেন্টস, আমেনা ফ্যাশন, আরাফাত এন্ড ব্রাদার্সসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরম আবহাওয়ার কারণে দোকান খোলার পর থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ক্রেতারা আসছেন। তারপর ক্রেতাদের আনাগোনা কমে যাচ্ছে। তবে সন্ধ্যার পর আবার বেচাকেনা শুরু হচ্ছে।
এদিকে ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা জমে উঠেছে। মূল্য নাগালের মধ্যে থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষগুলো ঈদের কেনাকাটা সারছে এ দোকানগুলোতেই।
ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে এবং ক্রেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল