নাটোর শহরতলীর লেংগুড়িয়া এলাকার জহির উদ্দীন নামে এক খামারির চুরি যাওয়া ৮ লাখ মূল্যের দুটি ফিজিয়ান জাতের গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুরি হওয়ার ১৩ দিন পর গরু হাতে পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে অসহায় খামারির। দুটি গরুকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কান্না করছিলেন গরুর দেখভালকারী রাখাল খলিল উদ্দীন। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে শহরের লেংগুড়িয়া এলাকার জহির উদ্দীনের খামার থেকে ২২ লিটার ও ২৬ লিটার দুধ দেওয়া আনুমানিক ৮ লাখ টাকা মূল্যের দুটি ফিজিয়ান জাতের গরু চুরি হয়। এ বিষয়ে পরের দিন নাটোর থানায় একটি মামলা হয়। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় টানা দুই দিন-দুই রাত অভিযান চালিয়ে বগুড়ার সাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা গ্রামের ইউনুস আলীর বাড়ি থেকে খামারির দুটিসহ পাঁচটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ টাকা।
এ সময় আন্তঃজেলা গরুচোর চক্রের সদস্য বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান এবং একই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে ছাইফুলকে আটক করা হয়।
রবিবার দুপুরে খামারি জহির উদ্দীন থানায় এসে গরু চুরির ১৩ দিনের মাথায় পুলিশের সহায়তায় ফেরত পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এ সময় চুরি যাওয়া গরু পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন জহির উদ্দীন।
গরুকে জড়িয়ে ধরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, গরু নয় এটা আমার সন্তানকে ফিরে পেয়েছি। পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশ আমাদের গরু উদ্ধার করে দেবে, এটা আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি। এসপি স্যার আমাদের বাসায় গিয়ে গরু উদ্ধারের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। স্যার কথা রেখেছেন।
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, আটক ব্যক্তিরা আন্তঃজেলা গরু চোরচক্রের সদস্য। চোরাই ট্রাক নিয়ে তারা বিভিন্নস্থানে গরু চুরি করতেন। গরুর চুরির বিষয়ে গ্রেফতার আসামিদের কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই