চার বোন তাসনিম জাহান, মারজাহান, তাজিন সুলতানা ও মাইশা সুলতানা মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। তাদের কোনো ভাই নেই। বাবা মজিবুল হক সহজ-সরল মানুষ। তিনি বেশ কয়েকবছর থেকে এলাকার মৃত মানুষের গোসল ও দাফন সংক্রান্ত কাজে সেবা করে আসছেন। পাঁচদিনেও আদরের চার মেয়ের সন্ধান না মেলায় সরল মানুষের জীবনটা বিষাদময় হয়ে উঠেছে। মজিবুল হক জানেনা তার মেয়েরা কোথায়, মেয়েদের সন্ধান পেতে ছুটে যাচ্ছেন আত্মীয়-স্বজন সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে। কিন্তু কোথায়ও সন্ধান মিলেনি। দুশ্চিন্তায় কাটছে তাদের প্রতিটি মুহূর্ত।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের কালেম গ্রামের মজিবুল হকের মেয়ে তাসনিম জাহান (১৭), মারজাহান (১৪), তাজিন সুলতানা (১২) নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরের আফসারুল উলুম কামিল মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষ, অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। অপর বোন মাইশা সুলতানা (৬) নারুয়া তা’লিমুল কোরআন মডেল মাদরাসার শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৫ মে) চার বোন একই সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল ৯টার দিকে তারা মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে নানার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে আজ মঙ্গলবার এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তারা বাড়ি ফিরেনি। নিখোঁজের দিন বিকেল থেকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নিয়েও কোন সন্ধান নিশ্চিত না হওয়ায় শুক্রবার (২৮ মে) রাতে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নিখোঁজদের পিতা মজিবুল হক। নিখোঁজের পাঁচদিনেও চার বোনের সন্ধান নিশ্চিত না হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মুজিবুল হক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার কোন ছেলে সন্তান নেই। চার মেয়েই আদরের ধন। তারা কোথায় আছে কিছুই জানি না। প্রতিটি মুহূর্ত দুশ্চিন্তায় কাটছে। মেয়েদের দ্রুত সন্ধান নিশ্চিতে তিনি প্রশাসনসহ সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে নিখোঁজ মেয়েটির বাবা অভিযোগ দেয়ার পর বিষয়টির তদন্ত চলছে। নিখোঁজ চার বোনকে উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল