বগুড়ায় বুধবার থেকে প্রায় পৌনে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় জেলায় ৬-১১ মাস বয়সি শিশুদের নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুদের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
২ হাজার ৮০৬ কেন্দ্রে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে সরকারি-বেসরকারিভাবে কাজ করবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী।
জেলায় ১৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত এবার ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৮০ জন শিশুকে ভিটামিন 'এ' প্লাস খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৬ হাজার ৬১৭ জন শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৬৮ জন শিশু।
আগামী ১৫ জুন বুধবার থেকে ১৯ জুন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো। এরমধ্যে ১৭ জুন শুক্রবার শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন এর সভা কক্ষে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মো: শফিউল আযম। বক্তব্য রাখেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সামির হোসেন মিশু, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: শাহনাজ পারভিন। পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডা: দিবাকর বসাক। কর্মশালায় বগুড়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মো: শফিউল আযম জানান, ভিটামিন এ শুধু অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধই করে না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা দূর করে শিশু মৃত্যুর হার কমায়। ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মান উন্নত এবং পরীক্ষিত এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে না। এ কারণে কোন অপপ্রচার চালানোর সুযোগ নেই। স্বেচ্ছাসেবীরা কিভাবে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে সে বিষয়ে প্রশিক্সণ প্রদান করা হয়েছে। ১৫ জুন বুধবার থেকে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অত্যন্ত উচ্চমানের এবং পরীক্ষিত ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। যেন এ নিয়ে অপপ্রচার না চালায় সে কারণে থানা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও সজাগ থাকবেন। এছাড়া সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি কোন অভিভাবক তার সন্তানকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে না চান তবে জোর করে খাওয়ানো হবে না। মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা ও উদ্ভিজ খাবার হলুদ ফলমূল ও রঙিন শাকসবজি খেতে দেয়ার আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ