ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটানা ভারী বর্ষণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে শহরের বেশ কিছু সড়ক। এতে করে দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। টানা বৃষ্টির সাথে শহরে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় আরও দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শহরের কাউতলী স্টেডিয়াম এলাকা, কোর্ট রোড, কুমারশীল মোড়, জেল রোড, মেড্ডা এলাকা, ফুলবাড়িয়া, মুন্সেফপাড়া, হালদারপাড়া, ফরিদুল হুদা রোড, পাইকপাড়া, আনন্দবাজার, কাজীপাড়া ও মৌড়াইল এলাকার রাস্তাঘাটসহ শহরের প্রধান প্রধান রাস্তাঘাট। এতে করে দুর্ভোগে পুরো শহর।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শহরের খাল ও ড্রেনগুলো প্রভাবশালীরা দখল করে ফেলায় ও অবশিষ্ট ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
শহরের কুমারশীল মোড়ের বিরিয়ানি দোকানের মালিক ইদ্রিস বলেন, আগে শহরে পানি নিষ্কাশনের জন্য বড় বড় খাল ও ড্রেন ছিল। এসব খাল ও ড্রেনের বেশির ভাগই প্রভাবশালীরা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। অবশিষ্ট থাকা ড্রেনগুলো পৌরসভার লোকেরা নিয়মিত পরিষ্কার করে না। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুক্রবারের বৃষ্টিতে তার দোকানের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে।
নদী ও প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন নোঙর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি শামীম বলেন, শহরের খাল ও ড্রেনগুলোর অধিকাংশই প্রভাবশালীরা দখল করে ফেলেছেন। এছাড়া অবশিষ্ট থাকা ড্রেনগুলো পৌরসভার লোকজন নিয়মিত পরিষ্কার করে না। ফলে বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তিনি দ্রুত শহরের ড্রেনগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা চালু করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদদুস বলেন, শহরের ড্রেনগুলোতে ব্যবহৃত পলিথিন আটকে থাকায় বৃষ্টির পানি সঠিকভাবে নিষ্কাশন হচ্ছে না। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ড্রেনগুলো পরিষ্কার করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বৃষ্টির পানি নেমে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই