নেত্রকোনার উব্ধাখালি ও কংশ নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনো বিপদসীমার নীচে নামেনি। এদিকে পানিতে তলিয়ে থাকা নেত্রকোনা-মদন মূল সড়কের কয়েক কিলোমিটার এখনো পানির নীচে। পানিতে তলিয়ে রয়েছে, অন্যান্য উপজেলার বেশ কিছু সড়কেও একই অবস্থা। যে কারণে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে মানুষ। গ্রামীণ সড়কগুলোর আরও বেহাল দশা। পানিবন্দি হয়ে থাকা মানুষগুলোর দুর্ভোগ যেন কমছেই না।
বৃহস্পতিবার জেলার মদন সড়কে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নেত্রকোনা মদন সড়কে চারটি এলাকার কয়েক কিলোমিটার অংশ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী রাজীব কুমার দাস বলেন, আমাদের নেত্রকোনা মদন সড়কের চারটি অংশে ৫ থেকে ৬শ’ মিটার তলিয়ে গেছে। আমরা পানি সরলেই দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেব।
এদিকে জেলার কলমাকান্দা উপেজলার একটি মাত্র নেত্রকোনা ঠাকুরোকোনা কলমাকান্দা সড়ক। যেটি গত ১৭ জুন থেকে ঢলের পানিতে অর্ধেক সড়ক ডুবে এবং ভাঙ্গা থাকায় পুরো উপজেলা বিচ্ছিন্ন ছিলো। এটির বিভিন্ন অংশের ডুবে থাকা এলাকা থেকে পানি সরলেও আগে থেকে ভেঙে থাকা সড়কগুলো আরও খারাপ অবস্থায় পড়েছে। ফলে বুধবার রাত থেকে হীরাকান্দা নামক স্থানে ধান বোঝাই দু’টি ট্রাক আটকে যায়। এটিতে ১৮০ বস্তা ও আরেকটিতে ২২০ বস্তা ছিলো।
পরে স্থানীয়রা বস্তা নামিয়ে রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কাজ করে ট্রাক দু’টোকে উদ্ধার করে। এদিকে রাত থেকেই অন্যান্য শত শত যান আটকা পড়তে থাকে। বানভাসিদের জন্য রক্তদানে নেত্রকোনা স্বেচ্ছাসেবকরাও ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে রাত থেকেই সড়কে আটকে যায়। এদিকে, জেলার ১০ উপজেলার ৫ লক্ষাধিক পানিবন্দি মানুষের জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ত্রাণ সহয়তা থাকলেও তা অপ্রতুল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক