২৮ জুন, ২০২২ ১৬:২১

সংবাদ সম্মেলন করে চাকরি চাইলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অঞ্জনা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সংবাদ সম্মেলন করে চাকরি চাইলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অঞ্জনা

জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অঞ্জনা রানী হালদার। শারীরিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়া এলাকার বিবি নন্দী রোডের পুরাতন আনসার অফিসের সরকারি জায়গায় কোনো রকমে মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে পরিবারটির। সড়ক দুর্ঘটনায় শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবা মান্দারী হালদার ফুটপাতে চা বিক্রি করেন। আর অঞ্জনা রানী হালদার প্রাইভেট টিউশনি আর বাচ্চাদের গান শিখিয়ে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে কোনো রকমে জোড়া তালি দিয়ে চলছে সংসার। 

নিজে জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও অদম্য মেধাবী অঞ্জনা জীবন সংগ্রামে কখনো দমে যাননি। সমাজের নানা কথা উপেক্ষা করে নিদারুন কষ্ট সহ্য করে ২০১৩ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাস বিভাগে অনার্স ও ২০১৪ সালে মাস্টার্স পাস করেছেন অঞ্জনা।

কিন্তু মাষ্টার্স পাশ করেও কপালে চাকরি জোটেনি তার। টিউশনি আর গান গেয়ে অর্থ আয় করে পরিবারের হাল ধরেছেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে বয়স ত্রিশের কোটায় এসে দাঁড়িয়েছে। সরকারি চাকরির বয়স প্রায় শেষ হতে চলেছে। এ অবস্থায় সরকারি একটি চাকরির জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে সোমবার বেলা ১২ টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের এম এ রাজ্জাক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন অঞ্জনা রানী হালদার।  

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, অভাব-অনটন আর দৃষ্টিহীনতার মাঝে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেড়ে উঠতে হয়েছে তাকে। কিন্তু কোন কিছুই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বাবা-মায়ের সহযোগিতা ও নিরলস কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এতো দূর পৌঁছেছি। 

তিনি বলেন, আমার মেধা আছে, তবুও চাকরি হচ্ছেনা। প্রতিবন্ধী হওয়ায় মাস্টার্স পাশ করেও চাকরি পাচ্ছি না। এখন একটা সরকারি চাকরি চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। আমি তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ চাই। তাকে জীবন যুদ্ধের গল্প শুনিয়ে একটি সরকারি চাকরি ভিক্ষা চাইবো। চাকরি পেলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পরিবারের মুখে হাসি ফোঁটাতে পারব। সংবাদ সম্মেলনে অঞ্জনার মা ফুলমালা হালদার, অঞ্জনার ছাত্রীর মা রেহেনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর