গত দুদিন যাবত যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩০ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৫ সে.মি নীচ এবং কাজিপুর পয়েন্টে ২৬ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫২ সে.মি নীচ প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়তে থাকায় ফের জেলার কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
গত এক সপ্তাহ আগে যমুনা পানি বাড়ায় জেলার ৫টি উপজেলার ৭ হাজার ৭৪১ দশমিক ৫০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬৫ হাজার কৃষকের ১৪০ কোটি টাকারও বেবশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ভাঙ্গনে প্রায় এক হাজার বসতভিটাসহ কয়েক শতাধিক ফসলি জমি সম্পুর্ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি বাড়ায় ফের যমুনা পাড়ের নিম্নাঞ্চলের মানুষ বন্যা ও ভাঙ্গন আতঙ্কে ভুগছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, বন্যায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাাবিত হয়ে ১২ হাজার ৫৯৯ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ৭ হাজার ৭৪১ দশমিক ৫০ হেক্টর জমির আউশ ধান, তিল, আখ, গ্রীষ্মকালিন সবজি, পাট, ভুট্টা, পেঁপে, কাউন, মরিচ, বোনা আমন ও রোপা আমনের বীজতলা ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ৬৫ হাজার ৪৫০ কৃষকের ১৪০ কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। তিনি জানান, ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরী করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সহায়তা পেলে তালিকা অনুযায়ী বিতরন করা হবে।সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী দুএকদিন বাড়বে। তবে বড় ধরনের বন্যার কোন সম্ভাবনা নেই।
বিডি প্রতিদিন/এএ