বাগেরহাটের দুটি বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবুও পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঈদুল আযহার আগেই হযরত খানহাজানের (র:) অমর সৃষ্টি ষাটগম্বুজ মসজিদ, তার মাজার শরীফসহ ১৭টি প্রত্নতত্ত্ব এলাকা দেখতে পর্যটকদের উপচে পড়া ঢল নেমেছে।
শুক্রবার সকালে ষাটগম্বুজ মসজিদ ও খানাজাহানের মাজার শরীফ ঘুরে দেখা গেছে, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপচে পড়া ঢল সামাল দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপর রয়েছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ নানা পরামর্শ ও খোঁজ খবর নিচ্ছেন তারা।
সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক আবুল হোসেন (৬০) জানান, পরিবার পরিজন নিয়ে প্রথমে বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা ষাটগম্বুজ মসজিদ ও খানজাহানের মাজার শরীফ ঘুরে দেখলাম। ভিড়ের মধ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশই আমাদের সব কিছু ঘুরিয়ে দেখিয়েছে। টুরিস্ট পুলিশের এই আন্তরিকতায় আমরা সবাই খুশি।
সিরাজগঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সেলিমা বেগম, পাবনার গৃহীনি শ্রবন্তী মন্ডল, কুমিল্লার তারিকুল আনাম দম্পতি জানান, আগে এসব লাকায় বখাটেদের হাতে অধিকাংশ সময় নাজেহাল হতে হতো। ইভটিজিংয়ের শিকারও হতো মেয়েরা। এখন ট্যুরিস্ট পুলিশ থাকায় কোন ধরণের হয়রানি হতে হচ্ছে না। আমরাও নির্বিঘ্নে বাগেরহাটের এসব পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখতে পারছি।
বাগেরহাটের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ জানান, পদ্মা সেতু চালু হবার পর সাড়ে ৬০০ বছর আগের হযরত খানহাজানের (র:) অমর সৃষ্টি বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ষাটগম্বুজ মসজিদ, হযরত খানজাহানের মাজার, বসতবাড়িসহ ১৭টি প্রত্নতত্ত্ব এলাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের চাপ বেড়েছে। এখন রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৩ ঘন্টায় এসে ষাটগম্বুজ মসজিদ, হযরত খানজাহানের মাজার দেখে দিনের মধ্যেই ফিরতে পারছেন দর্শনার্থীরা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ খুলনা অঞ্চলের পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা সুন্দরবনে পর্যটন ৩ মাস বন্ধ থাকলেও ষাটগম্বুজ মসজিদসহ হযরত খানজাহানের মাজার, বসতবাড়িসহ ১৭টি প্রত্নতত্ত্ব এলাকায় পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে স্পটগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ৩ শিফটে ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করছে। পর্যটকদের সব ধরণের সুবিধা-অসুবিধায় আমরা পাশে থাকছি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল