পাহাড়ি ঢলে এবার নেত্রকোনায় আকস্মিক বন্যায় শুধু দুর্গাপুরেই প্রায় ৫ শতাধিক বাড়িঘর ভেঙে গেছে। ভিটে হারিয়ে এখন নিঃস্ব অনেকেই। স্বজনসহ প্রতিবেশীদের বাড়িঘরে কাটছে দিন। সোমেশ্বরীর পানি নেমে গেলেও এখনও বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে আছে।
ফলে ঈদের আনন্দের চেয়ে ওইসব এলাকার মানুষের হতাশার গল্পটাই এখন বেশি। সবাই মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজছেন।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব উল আহসান জানিয়েছেন, ওই এলাকায় কেবল অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণই ৬৫ কোটি টাকার বেশি। তিনি আরও জানান, ১৫ টি পাকা ঘর ভেসে গেছে। এতে ঘর প্রতি গড় ক্ষতি হয়েছে ৯ লক্ষ টাকা করে। আংশিক ভেঙে গেছে ৫৪ টি, যার গড় ক্ষতি হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা করে। আধাপাকা সম্পূর্ণ ৮১ টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়, যার গড় ক্ষতি ২ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৫৩ টি ঘর, যার গড় ক্ষতি ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা করে। এছাড়াও কাচা ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার ১৬৬ টি। যার গড় ক্ষতি ৯০ হাজার টাকা করে ধরা হয়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৮৫৫ টি, যার গড় ক্ষতি ৭০ হাজার টাকা করে ধরা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে তাদেরকে সহায়তা করার।
এদিকে সরকারি হিসেব ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গেছে অসংখ্য মানুষ হারিয়ে ফেলেছেন তাদের ভিটেবাড়ি। যাদের অনেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছেন। ক্ষুধার ধকল সামলাতে অনেকেই বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি।
নেত্রকোনা জেলা সদরের ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের তাতিয়র গ্রামের এক নারীকে শহরে ভিক্ষা করতে দেখা গেছে এই প্রথম। তার সাথে কথা বললে জানান, বন্যায় কিছুই নেই। ঘর বাঁধলেও টাকা লাগবে। খেতে পরতেও টাকা লাগবে। যে কারণে বাধ্য হয়েই ভিক্ষা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল