শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে রাঙামাটির পশুর হাট। দূর পাহাড় থেকে প্রায় প্রতি ঘণ্টায় আসছে হাজারো গরু, মহিষ ও ছাগল। বাহারি রঙ আর গড়নের গরুতে হাট হয়ে উঠেছে বৈচিত্র্যময়। ক্রেতারাও পছন্দের পশুটি কিনতে হাটে ভিড় করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশি গরুর বেশি চাহিদা, দাম সাধ্যের মধ্যে। তাই রাঙামাটির গরু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শহরেও। ঢাকা-চট্টগ্রামের হাট বাজারে পাহাড়ি গরুর চাহিদা বেশ ভালোই বলেই জানালেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
রাঙামাটির জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলা নদী পথে। কাপ্তাই হ্রদে বোটে চরে আসছে এসব পাহাড়ি গরু। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় প্রতি ঘন্টায় লংগদু, মাইনি, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, সুবলং, নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়িসহ বেশ কয়েকটি স্থান থেকে আনা হচ্ছে হাজারো পাহাড়ি গরু। আর এসব গরুর বাজার বসেছে রাঙামাটির ট্রাক টার্মিনাল এলাকায়।
গরু বিক্রেতা আজহার মিয়া বলেন, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে ১৭ লাখ টাকায় ২২টি গরু নিয়ে এসেছেন। চাহিদা থাকায় সব গরু বিক্রি হয়ে গেছে। অনেক ব্যাপারি গরু নিয়ে গেছেন চট্টগ্রামে। তাদেরও ভালো লাভ হয়েছে।
একই কথা জানালেন আরেক গরু ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার। এবার বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। দামও সাধারণের সাধ্যের মধ্যে। বড় গরুগুলো দামও বেশি চাহিদাও নেই। এবার ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে ৭৫ হাজার থেকে ৯৫ হাজারের মধ্যে। আর একটু বড় গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত।
তবে গরু কিনতে এসে মো. মাহাফুজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গরুর বাজারে ব্যবসায়ীদের চেয়ে দালালদের দৌরাত্ম্য অনেক বেশি। তাই সঠিক দামে মিলছে না গরু। এতে ক্রেতাদেরও ভোগান্তি বেড়েছে।
রাঙামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, এবার পৌরসভার পক্ষ থেকে মাত্র একটি পশুর হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে পশুর হাটে পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি দল গঠন করা হয়েছে তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এবার পশু জবাই স্থানগুলো কমিয়ে আনা হয়েছে। আগে ৪৩টি স্থানে পশু জবাই করা হলেও এবার হবে মাত্র ৩২টিতে। এছাড়া দ্রুত বর্জ্য অপসারণের জন্য পৌর কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল