ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদ হারাচ্ছেন সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার। রবিবার (১৭ জুলাই) রাতে জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক রিটন রায় স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মহসিন খন্দকারকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহসিন খন্দকার গত ১৬ জুলাই নিজ ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ ও স্ট্যাটাসে বিভ্রান্তিমূলক, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী একাধিক মামলা থাকায় গত ১৭ জুলাই জেলা ও সদর উপজেলা যুবলীগের যৌথ সভা থেকে তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে চূড়ান্ত বহিষ্কার করতে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের যৌথ স্বাক্ষরে মহসিন খন্দকারকে বহিষ্কারের চিঠি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বহিষ্কৃত সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার বলেন, সিলেটে বন্যা শুরু হওয়ার পর যুবলীগের সভা হয়। সেখানে বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণের জন্য উপস্থিতদের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়। আমাকে ১০ হাজার টাকা দিতে বলা হলে আমি ৫ হাজার টাকা বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে সহায়তা করি। টাকা নেওয়ার পরও ত্রাণ না দেওয়ায় এদিকে সিলেটে পানি কমে আসে। এমন অবস্থায় আমি সুহিলপুর ইউপির কিছু এলাকায় বন্যা কবলিতদের ত্রাণ দিতে বলি। প্রয়োজনে আমি আরও ১৫-২০ হাজার টাকা দিতে চাই। কিন্তু তারা কোনো প্রকার ত্রাণ বিতরণ না করে এই টাকায় পদ্মা সেতু দেখতে গেলেন। এ নিয়ে আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি। সত্য কথা বলায় আমাকে বহিষ্কার করেছে।
জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, মহসিন খন্দকার বিপথগামী ছেলে। সে ফেসবুকে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী ও ভাবমূর্তি নষ্টের পোস্ট দিয়েছে, লাইভ করেছে। তাছাড়া যুবলীগ নেতারা পদ্মা সেতু দেখতে যায়নি। একজন আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা গিয়েছে। পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার খরচ তারা নিজেরা মিটিয়েছে। মহসিন বারবারই যুবলীগের সুনাম নষ্ট করছে অপকর্মের মাধ্যমে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল