ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক সালিশি বৈঠকে দুই পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে বল্লমের আঘাতে শাহ আলম (৪২) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হবার পর আরো এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো দুইয়ে। সোমবার ভোর রাতে ঢাকা শহরের একটি হাসপাতালে আরাফাত (২০) নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত আরাফাত নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের মেরাতুলী গ্রামের সফর আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার মেরাতুলী গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে বাহার মিয়া ও সফর মিয়ার ছেলে আরাফাতের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে শনিবার রাতে এলাকার জাহের মিয়ার উঠানে সালিশি সভা আহ্বান করা হয়। সালিসে জিয়া নামে একজন না আসায়, সভায় উপস্থিত শাহ আলম এর কারণ জিজ্ঞাস করেন। এনিয়ে সফর মিয়া, সাঈদুল, ছুট্রু ও আরাফাতের সাথে শাহ আলমের বাকবিতন্ডা হয়। এর একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্রসহ শাহ আলমের উপর হামলা করে। ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় শাহআলমের একটি চোখে বল্লমের আঘাত লাগে এবং আরাফাতসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। শাহআলমকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মধ্যরাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহ আলম পথেই মারা গেছেন বলে জানান। একই সময়ে গুরুতর আহত হওয়া আরাফাতকে ঢাকার অপর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার ভোর রাতে মারা যায়।
নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ আরাফাতের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তারা তৎপর আছে। সংঘর্ষে খুনের ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম