সৃষ্ট লঘুচাপের কারনে মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূল জুড়ে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও সাগর প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে। এছাড়া সাগর পাড়ের বাগেরহাটে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি বইছে। সুন্দরবনে পূর্ণিমায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন। সুন্দরবনের সব থেকে উঁচু এলাকা চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল ট্যুরিজম ও বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
তবে, করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের বন্যপ্রানী হরিণ, কুমির ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা নিরাপদ রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সুন্দরবনের দুবলার চর, মেহেরআলীর চর, ভেদাখালীর অফিস খাল, কটকা, কচিখালী, হিরন পয়েন্টের আশপাশের নদী-খালে জেলেসহ ৫ শতাধিক ফিশিং ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানা, গতকালের তুলনায় আজ বৃহস্পতিবার জোয়ারের পানি বেড়েছে সুন্দরবনে। করমজলের ভিতরেও স্বাভাবিকের তুলনায় আড়াই থেতে ৩ ফুটের অধিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। লঘুচাপের প্রভাবে দিনে দুবার এভাকে তলিয়ে যাচ্ছে সুন্দরবন। তবে, করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের বন্যপ্রানী হরিণ, কুমির ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা নিরাপদ রয়েছে।এদিকে বৃহস্পতিবারও তিন নম্বর সংকেতের মধ্যে মোংলা বন্দরে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া, হিরণপয়েন্ট, হাড়বাড়ীয়া ও জেটিতে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার। তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে মোংলাসহ উপকূলে বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। তবে সতর্ক সংকেত বাড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় অতিরিক্ত ২ থেকে ৪ ফুটের অধিক জলোচ্ছাসে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হবে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএ
