জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলের খাবার পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। হুমকির মুখে পড়েছে উপকূলের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। উপকূলীয় নদীগুলোর লবণাক্ততা ক্রমশ বেড়ে চলা ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় পানির উৎসগুলো লবণাক্ত হয়ে পড়ায় তা পানের অযোগ্য। ফলে উপকূলীয় জেলাগুলোতে সুপেয় পানির সংকট কোনোভাবেই রোধ রোধ করা যাচ্ছে না।

বিশ্ব যুব দিবস পালনের অংশ হিসেবে শনিবার মানববন্ধন করে উপকূলে বিনামূল্যে নিরাপদ ও পর্যাপ্ত সুপেয় পানি প্রাপ্তির দাবি জানিয়ে উপরোক্ত কথা বলেন সাতক্ষীরার বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং যুব কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও ফোরামের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সিডোর শ্যামল বিশ্বাস, চুপড়িয়া মহিলা সংস্থার মরিয়ম মান্নান, আফজাল হোসেন, আব্দুস সামাদ, প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির পরিচালক আবুল কালাম, উত্তরণের  মনির উদ্দীন, যুব ফোরামের মাসুদ রানা, নাজমিন নাহার, গোবিন্দ মুন্ডা, হারুন অর রশিদ, সদস্য শাহানাজ পারভীন, মো. মমিনুর রহমান, সুমাইয়া পারভীন, শওকত হোসেন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জলবায়ু অধিপরার্শ ফোরামের সদস্য সচিব ও স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত।

মানববন্ধনে পানির সংকট তুলে ধরে বক্তারা আরও বলেন, উপকূলে নদ-নদীর বেড়িবাঁধ দুর্বল হওয়ায় লবণ পানি ঢুকে চাষ যোগ্য জমি, সুপেয় পানির আধারগুলো নষ্ট হচ্ছে। চারিদিকে পানি কিন্তু খাবার পানি নেই। চারিদিকে শুধু লবণ পানি। খাবার পানি সংগ্রহের জন্য একজন নারীকে ৪/৫ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। যা অমানবিক। পানি উপকূলের মানুষের অধিকার। কিন্তু উপকূলের দরিদ্র মানুষকে পানি কিনে খেতে হয়।

বক্তারা আরও বলেন, উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, জলাধার সংরক্ষণ ও নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও উপকূলে উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা