ইছামতি নদী ভাঙনে মানিকগঞ্জের শতবছরের ঐতিহ্য ঘিওর গরুরহাট বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর উপর নির্মিত পাকা সেতু, বাড়িঘর দোকানপাটসহ বহু স্থাপনা।
সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘদিনের পুরনো গরুর হাটটি প্রায় সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী পাড়ের অনেক বাড়িঘর নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে।
স্থানীয় হাজী মো. বাবুল বলেন, ইছামতি নদীতে ঘিওর থেকে বেগুননারচি হয়ে হিজুলিয়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর নদী ভাঙলেও এবারের মতো এত ভাঙেনি। ছয়দিনের মধ্যে গরুর হাটটি নদীতে হারিয়ে গেলো। এখন দুই পাড়ের লোকজন ভাঙনের ভয়ে রাত জেগে বসে থাকে।
গরুর বেপারী তোয়াব শেখ বলেন, এ হাটে আমার বাপ-দাদা গরুর ব্যবসা করেছে। আমি প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে গরুর ব্যবসা করি। অন্যকোনো জায়গায় হাটটি চালু না করলে গরুর খামারিরা ও ব্যবসায়ীরা ঝামেলায় পড়ে যাবে। নদী ভাঙনের শিকার কামনা রানী সুত্রধর বলেন, আমাদের ছোট্ট বাড়িটি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। এই সম্বলটুকু হারিয়ে গেলে ছেলেমেয়ে নিয়ে কোথায় দাঁড়াব জানি না।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান জানান, প্রতি বছর ঘিওরের এই ইছামতি নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। সমস্যা চিহ্নিত করে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা কাজ শুরু করেছে। বালু ফেলে স্থায়ী সমাধান হবে না। স্থায়ী সমাধানের জন্য আড়াই কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন হলে কাজ শুরু করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই