বরগুনা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে মাইঠা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাইঠা রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে ৩০ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠা হয়। দীর্ঘ ৪৯ বছর অতিক্রম হলেও জাতীয়করণ না হওয়ার বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একবছর পূর্বে পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছেন।
পাঠদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ১৯৭৩ সালে এই বিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এ এলাকায় কোনো প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। দীর্ঘ বছরগুলোতে এই বিদ্যালয় পাঠদান করিয়ে শিক্ষরারা বিদায়ও নিয়েছেন।এই বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে অনেকেই এখন উচ্চ শিক্ষিত।
বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাহিদা মতো সকল কাগজপত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত সময় জমা দেওয়া হয়েছে। তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় বিদ্যালয়ের নাম নেই! পরবর্তিতে ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ সংক্রান্ত জেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় সিন্ধান্তসহ মাইঠা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাইমারি স্কুলসহ ৫টি স্কুলের নাম প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হয়। দীর্ঘ ৬ বছরেও এ ব্যাপার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এক বছর পূর্বে শিক্ষকরা পাঠদান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। স্থানীয় কয়েকজন অভিবাবক বলেন, শিক্ষা অফিসের চাহিদামত নোট দিতে না পারায় এই স্কুলটি সরকারি হয়নি। এছাড়া আর কোনো কারণ নেই।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুন্নী বেগম ও খাদিজা আলম বলেন, আমরা ১৫-১৬ বছর যাবৎ এই বিদ্যালয়ে অবৈতনিক ভাবে পাঠদান করে আসছি। আমাদেরওতো সংসার আছে। এখন আর পারছিনা আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও আমরা বঞ্চিত হলাম!
এ ব্যাপারে বদলীর আদেশপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কেন এই স্কুলটি জাতীয়করণ হয়নি, আমি বলতে পারবো না। তিনি আরও বলেন, নতুন করে জাতীয়করণের কোনো সুযোগ নেই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল