ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবীতে ফাতেমা দোলেনা খাতুন নামে এক সন্তানের জননীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্বামী ও তার পরিবার। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বামীসহ তার পরিবারকে আসামী করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ৩ বছর আগে শহরের হামদহ শান্তিনগরপাড়ার বসির আহম্মেদের ছেলে আবু সাঈদের সাথে বিয়ে হয় বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী দোলেনা খাতুনের। দোলেনা সদর উপজেলার দোগাছি বেড়পাড়া গ্রামের দেলোয়ারে হোসেনের মেয়ে। বিয়ের সময় দেওয়া হয় যৌতুক হিসাবে ছেলে পক্ষকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৭৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। বিয়ের পর জানতে পারে ছেলে বেকার। বেকারত্বের কারনে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে গৃহবধু দোলেনার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামীসহ তার পরিবার। এরই মাঝে ওই দম্পত্তির কোল জুড়ে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আবারো জামাইয়ের দাবী অনুযায়ী নগদ ২ লাখ টাকা দেন দোলেনার পিতা দেলোয়ার হোসেন। কিছু দিনের মধ্যে ফের ৩ লাখ টাকা দাবী করে আবু সাঈদ ও তার পরিবার। এই টাকা না পেয়ে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে দোলেনার উপর। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর বেধড়ক মারপিট করে গৃহবন্দি করে রাখে ওই গৃহবধূকে। খোঁজ পেয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে আসেন স্বজনেরা। পরে তাকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে গিয়ে পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেন। এতে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২২ সেপ্টেম্বর তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ ইউসুফ শেখ জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম