বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) পরিচালিত পৃথক দুটি অভিযানে দেড় কোটি টাকা মূল্যমানের ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ জীম্বংখালী বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বিআরএম-১৭ হতে আনুমানিক ৩০০ গজ দক্ষিণ দিকে ইসহাকের ঘের নামক এলাকায় নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ সময় টহলদল একজন চোরাকারবারীকে সাঁতার দিয়ে মিয়ানমার হতে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাফ নদীর তীরে আসতে দেখে। তার গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত অগ্রসর হয়। চোরাকারবারী দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই একটি পলিথিনের ব্যাগ ফেলে পুনরায় সাঁতার দিয়ে দ্রুত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া ওই পলিথিনের ব্যাগ উদ্ধার করে। পরে সেটির ভেতরে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করা হয়। যার মূল্য পায় ৩০ লাখ টাকা।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সাড়ে আটটার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ জীম্বংখালী বিওপি’র একটি সীমান্ত সুরক্ষা টহলদল বিআরএম-১৬ হতে আনুমানিক ৬০০ গজ উত্তর-পশ্চিমে চেয়ারম্যানের মাছের ঘের সংলগ্ন বেড়িবাঁধের উপরে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ সময় টহলদল দু’জন ব্যক্তিকে একটি মাছের ঝুড়ি হাতে নিয়ে চেয়ারম্যানের ঘেরে এলাকা দিয়ে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত অগ্রসর হয়। ওই ব্যক্তিরা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তাদের হাতে থাকা মাছের ঝুড়ি ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। টহলদল ওই স্থানে পৌঁছে তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যক্তিদের ফেলে যাওয়া একটি মাছের ঝুড়ি উদ্ধার করে, যার ভেতরে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। জব্দকৃত এসব ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য এক কোটি বিশ লাখ টাকা।
বিডি প্রতিদিন/কালাম