বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা এলাকায় শুক্রবার অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে জাহিদ মীর (৩৫) নামের এক শামুক ব্যবসায়ী গুরুত্বর আহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় জাহিদ মীরকে স্থানীরা প্রথমে ফকিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জাহিদ মীর উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকার শহীদ মোল্লার জামাতা। সে দীর্ঘদিন ধরে শশুর বাড়ীতে ঘর জামাই হিসাবে বসবাস করতো। তার বাড়ি খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার কয়রা এলাকায় আবুল হোসেন মীরের ছেলে। দেড় বছর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি হিসাবে বাগেরহাট (পিবিআই) জাহিদ মীরকে গ্রেফতার করে। ওই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকার পুরাতন জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে জাহিদ মীর মসজিদ থেকে বের হয়ে তিন রাস্তার মোড়ে পৌছায়। এসময় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন লোকের সাথে জাহিদ মীরের বাক-বিতন্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা জাহিদকে লক্ষ করে ৬ রাউন্ড গুলি করে। এরমধ্যে ৫টি গুলি তার শরীরে বৃদ্ধ হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় জাহিদ মীরকে স্থানীরা প্রথমে ফকিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পর খবর পেয়ে ফকিরহাট সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার, থানা পুলিশসহ ও পুলিশের অন্যান্য ইউনিটসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় পর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এএম