মাদারীপুরে চিকিৎসাসেবার ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলতে আড়াইশো শয্যার হাসপাতালটি চালুর দাবিতে প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত মাদারীপুর পৌর শহরের শকুনি লেকের কানন চত্বরে এ প্রতীকী গণ অনশন কর্মসূচীর পালন করা হয়। ২ ঘন্টা ব্যাপী এই প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচিতে নানা রকম ফেস্টুন, ব্যানার হাতে অংশ নেয়, দুরন্ত মাদারীপুর, নিরাপদ চিকিৎসা চাই, বিডি ক্লিন, অদম্য মাদারীপুর, স্বপ্নের সবুজ বাংলাদেশসহ ২১টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ।
এসময় গণঅনশন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে জুবায়ের জাহিদ নামের এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, চিকিৎসা আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু সেই মৌলিক অধিকার থেকে আমরা মাদারীপুর জেলাবাসী বঞ্চিত। আমাদের আড়াইশো শয্যার হাসপাতালের ভবন থাকলেও সেটি চালু না হওয়ায় একশো শয্যার ভবনে নামমাত্র চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর রোগীদের পাঠানো হয় বিভিন্ন মেডিকেলে কলেজে। ফলে মাঝপথেই অনেক রোগীর মৃত্যু হয়। আমরা জেলা বাসী এ থেকে মুক্তি চাই।
নিরাপদ চিকিৎসা চাই আন্দোলন, মাদারীপুর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ বলেন, একশ শয্যা থেকে আড়াইশো শয্যার ভবনটি হয়েছে আজ ৪ বছর। তবুও এটি চালু হচ্ছে না। আমরা বার বার ধর্ণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে, আমরা মানববন্ধন করেছি, গণ স্বাক্ষর করেছি, সংবাদ সম্মেলন করেছি তবুও অজানা কারনে এখনো হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না। আমরা দ্রুত এটি চালুর দাবী জানাই।
জানা যায় দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একশ শয্যা থেকে আড়াইশো’ শয্যায় উন্নীত করা হয় মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতাল। এতে ব্যয় হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর গণপূর্ত অধিদপ্তর স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে হাসপাতালটি। রয়েছে তিনকোটি টাকা মূল্যের সিটি স্ক্যান মেশিন। আছে ডিজিটাল এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ১০টি কার্ডিয়াক মনিটর, আধুনিক জেনারেটরসহ কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। এসব থাকার পরেও হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলো জেলার সচেতন মহল ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
বিডি প্রতিদিন/এএ