ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে এবার পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। তাদের দাবি, মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ না করা হলে ১১ নভেম্বর সকাল থেকে ১২ নভেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত সকল প্রকার পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহন ধর্মঘটের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা। এদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, সমাবেশে নেতা-কর্মীদের জনস্রোত ঠেকাতে সরকারের ইন্ধনে পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে কতিপয় মালিক শ্রমিক নেতারা।
দলের স্থানীয় নেতারা বলছেন, তারা আগেই জানতেন, গণসমাবেশে নেতা–কর্মীদের আসা ঠেকাতে বাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে সোমবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের হাতে চিঠি তুলে দেন ফরিদপুর জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর এই চিঠি দেওয়া হয়। ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ২৯ মের সভার ১৩ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সব ধরনের অবৈধ থ্রি হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, মাহিন্দ্র, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল) চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরপরও এসব অবৈধ যান মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে। যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দক্ষিণবঙ্গের আঞ্চলিক ও দূরপাল্লায় পরিবহন চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের অনাকঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটছে। এমতাবস্থায় যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ যাতায়তের জন্য ১০ নভেম্বরের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে। না হলে ১১ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১২ নভেম্বর শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা বাস টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক বাস ও মিনিবাসসহ দূরপাল্লার পরিবহনের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
বিএনপির সমাবেশের আগে এসে অবৈধ যান নিয়ে সোচ্চার হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি জোবায়ের জাকির বলেন, তিন–চার মাস ধরে তারা মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধের জন্য বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে মাদারীপুরেও সভা হয়েছে। সেখানেই ১০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে ১১ নভেম্বর থেকে দুই দিনের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। এরপরও দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টিকালের জন্য ধর্মঘটে যাবেন তারা। তিনি বলেন, বিএনপির গণসমাবেশের সঙ্গে তাদের কর্মসূচির সম্পর্ক নেই। তবে কাকতালীয়ভাবে বিষয়টি মিলে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ