কুষ্টিয়ার খোকসাতে গড়াই নদ থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত অর্ধগলিত মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তির প্যান্টের পকেটে থাকা মোবাইলফোনের সেভ করা নাম্বারের সূত্র ধরে মিলেছে পরিচয়।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. রবিউল (৩২)। তিনি কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের বোন বিলকিস খাতুন।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের খেয়াঘাট এলাকা থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুনুর রশিদ। তিনি জানায়, ' নিহত ব্যক্তির প্যান্টের পকেটে একটি মুঠোফোন ছিলো। ফোনে প্রথম সেভ করা নাম্বার দিয়ে তাঁর পরিচয় মিলেছে। তাঁর বোন বিলকিস মরদেহটি শনাক্ত করেন।'
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গড়াই নদে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন খেয়াঘাটের মাঝিরা। খবর পেয়ে খোকসা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে নৌ - পুলিশ কে খবর দেয়। এরপর নৌ পুলিশ মরদেহের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের বোন বিলকিস জানান, ' ভাই ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি ছিলো। গত পাঁচ দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিল। থানায় অভিযোগ দেওয়া আছে। হয়তো তাকে (ভাই) খুন করা হয়েছে।'
খোকসা থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ' সকালে খোকসা মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে নিহত ব্যক্তির স্বজনরা লিখিত অভিযোগ নিয়ে আজ থানায় এসেছিল। কিন্তু মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাস্থল খোকসা হওয়ায় তাঁদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল। তবে এ সংক্রান্ত কোনো জিডি বা অভিযোগ থানায় নেই।'
বিডি প্রতিদিন/এএম