১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শতাধিক শিক্ষার্থীর স্লোগানে মুখর ময়মনসিংহের রাজপথ। রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীতে জাতীয় পার্টির (জাপা) বিক্ষোভ মিছিলে দেখা মেলে এমন দৃশ্য। অথচ যখন তারা স্লোগান ধরেছে, তখন স্কুলে বসে পাঠদানে ব্যস্ত সময় পার করার কথা। মিছিলের সময় সেসব শিক্ষার্থীদের কাঁধে বই বোঝাই ব্যাগ ঝুলতেও দেখা যায়। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কাম্য নয় বলে মনে করছে সচেতন মহল।
তবে রাজনৈতিক এমন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিয়ে যুক্তি দিলেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি। তিনি জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য সচিব।
তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজে যেহেতু ছাত্ররাজনীতি আছে, সেহেতু মিছিল মিটিংয়ে তো ছাত্ররা আসবেই। যারা আদর্শিক ছাত্র রাজনীতি করে তাদের গায়ে স্কুল ড্রেস নাকি অন্য কিছু আছে, এটা তারা চিন্তা করে না। তারা শুধু নেতার কি সমস্যা এটা নিয়েই চিন্তা করে।’
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সবাই মুক্তাগাছার আর কে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য উপজেলা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূর ময়মনসিংহ নগরে এসেছে। সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তির নির্দেশে তারা এই রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করে।
জানতে চাইলে আর কে উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা মিছিলে গেছে তারা স্কুলে আসেনি। এটা কোনোভাবেই সঠিক কাজ নয়। এরাই একসময় ঝড়ে যায়। নেতারাই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে।’
উদ্বেগ জানিয়ে প্রধান শিক্ষক আরও জানান, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। তাদের ‘বড় ভাই’রা কর্মসূচির আগের দিনই বলে দেয় পরে তারা স্কুল ফাঁকি দিয়ে মিছিলে যায়। শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং ও তাদের অভিভাবকদের জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই