বগুড়ার নন্দীগ্রামে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ককটেল বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত ১টি ককটেল উদ্ধার ও বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করেছে।
জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নন্দীগ্রামে হঠাৎ করে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে পৌর সদরে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবিস্ফোরিত ১টি ককটেল উদ্ধার করে এবং দুইজনকে আটক করে। তারা হলেন উপজেলার রণবাঘা এলাকার নাইমুল হকের ছেলে যুবদল কর্মী মনছুর রহমান (২৯) ও ধুন্দার এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আতিকুল ইসলাম (২২)।
নন্দীগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ আহমেদ জানান, শেরপুর উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতাদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। এজন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জমায়েত হতে থাকে। কয়েকজন নেতা বাসস্ট্যান্ডের পাশে পেট্রোল পাম্পের সামনে চা-স্টলে ছিলেন। পাশের বিএনপি অফিস থেকে হঠাৎ কয়েকজন বের হয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের লক্ষ্য করে পরপর ২টি ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেল নিক্ষেপের ঘটনার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার জানান, ছাত্রলীগের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং ঘটনা তাদেরই পরিকল্পিত। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ এসে দলীয় কার্যালয় থেকে দুই জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত ১টি ককটেল উদ্ধার এবং বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম