নেত্রকোনার সর্বত্র শুরু হয়েছে শীতকালীন সবজির চাষ। আমন ধান ঘরে তুলেই কৃষকরা জমিতে রবিশস্য রোপণ করে ফেলেছেন। অনেকেই ধানের পাশাপাশি বেগুন, লাল শাকসহ মুলা চাষ করেছেন। জমি ফেলে না রেখে ফসল কাটার পরপরই দ্রত সরিষা, কপিসহ নানা জাতের সবজি আবাদ করছেন অনেকে। বাদ যাচ্ছে না নদীর চরগুলোও। এতে করে বাজার থেকে কিনে খাওয়া লাগছে না যেমন, তেমনি টাটকা সবজি বিক্রি করছেন ভালো দামে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার পুর্বধলা জারিয়াসহ বেশ কিছু উঁচু এলাকায় পুরোদমে চলছে রবিশস্য অর্থাৎ শীতকালীন সবজি চাষ। কোনো কোনো গ্রামের কৃষকরা ধানের পাশাপাশি বেগুন, মুলা, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি আবাদ করে বাজারেও বিক্রিও করছেন ভালো দরে। নিজেরাও টাটকা সবজি খেতে পারছেন। অন্যদিকে বাজারে বিক্রি করেও সংসারে আয় করছেন।
বাড়ির পাশে সড়কের ধারে নদীর চরে যে যেখানেই জায়গা পাচ্ছেন আলু, শিম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, লাল শাক, ফুল কপি, বাধা কপি, ডাটা, কচু শাক, কাঁচা মরিচ, মুলাসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য চাষে ব্যস্ত রয়েছেন। আগামী চৈত্র মাস পর্যন্ত পরিচর্যা করলে ভালো ফলন পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করছেন কৃষকরা। আবার ফলন হওয়া বেগুন বাজারদর ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন আব্দুল লতিফ। কৃষক রোজালি নিজ জমিতে অন্যান্য শস্যের পাশাপাশি লাল শাক মুটি হিসেবে বিক্রি করছেন।জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরজ্জামান বলেন, আট হাজার ছয়শত জন কৃষক পরিবারকে প্রণোদনা হিসেবে পাঁচ ধরনের সবজি বীজ দেয়া হয়েছে। যাতে তারা বসতবাড়িসহ সবখানে সবজি চাষ করতে পারে। এতে কৃষকরা লাভবান হবে। আশা করি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। জেলায় এ বছর ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সাথে যৌথ উদ্যোগে আমাদের পতিত ও অনাবাদি জমিগুলো আছে, এর মাঝে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আবাদের পরিকল্পনা নিয়েছি। এ ব্যাপারে কৃষক ভাইদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সেটির কাজ সম্প্রসারিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই