বগুড়ার নন্দীগ্রামে নজরুল ইসলাম দয়া নামে একজন সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে সাংবাদিককে উদ্ধার করে।
নজরুল ইসলাম দয়া একাধিক জাতীয় দৈনিকে কর্মরত এবং নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক। তিনি বগুড়া-৪ আসনের আসন্ন সংসদ উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির ‘লাঙল’ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
গত ২৮ নভেম্বর অপপ্রচার, অপহরণের চেষ্টাসহ বিভিন্ন কারণে থানায় রহিম ও গোলাম নামে কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় জিডি দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। এর জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার আগের দিন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সাংবাদিকের বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে। বাড়ির ভেতর থেকে কেউ সাড়া দেয়নি। শুক্রবার সকালে কৈগাড়ী সোনারপাড়ার রহমতুল্লার দুই ছেলে রহিম ও গোলামের নেতৃত্বে এখলাছুর, আজিজুল, আতিকুল ও সিংড়ার বেওলা এলাকার আলহাজসহ বহিরাগত ১০-১৫ জন দেশীয় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকের বাড়ির রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছিল। একপর্যায়ে সাংবাদিকের ছোটভাই হাফেজ নাজিজুল বাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্রই তার ওপর হামলা করে তারা। ছুরিকাঘাতে তার হাতের আঙুল কেটে যায়। ভাইকে বাঁচাতে আরেক ভাই নুরনবী এগিয়ে গেলে তাকেও ধাওয়া করা হয়। পরে সাংবাদিকের ওপর হামলার জন্য বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় দেশীয় অস্ত্রধারী হামলাকারীরা। তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তারা সাংবাদিকের ওপর হামলা করতে পারেনি, তার ছোট ভাই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে জেনেছি। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি থানায় নেই, দু’ একদিন পর এসে বিষয়টি দেখবেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল