রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীতের কামড়ে এখন শৈত্য প্রবাহের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। কুয়াশার আড়ালে ঢাকা পড়েছে সূর্য। শুক্রবার অনেকস্থানের সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রতিদিনই কমছে। পশ্চিমা বাতাসের সাথে কনকন ঠান্ডা অনুভব হওয়ায় বেদকায়দায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। ফলে এ অঞ্চলের দরিদ্র শীতার্ত মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে এই সপ্তাহে মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে এই অঞ্চলে।
জানা গেছে, গত ২ দিন থেকে এ অঞ্চলের মানুষ সূর্যের মুখ ঠিকমত দেখছে না। কোথাওবা দেখা গেলে তাও ছিল খুব অল্প সময়ের জন্য। শুক্রবার সকাল থেকে প্রায় সারাদিন ছিল আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন সেই সাথে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত। বিরুপ আবহাওয়ায় জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
তিস্তা নদী তীরবর্তী নীলফামারীর ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী , রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা ও গাইবান্ধা জেলার নদী বেষ্টিত মানুষজন শীতের কামড়ে কাবু হয়ে পড়েছে। শীতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের লোকজনের অনেকেরই শীতবস্ত্র কেনার আর্থিক সামর্থ নেই। তারা শীত বস্ত্রের জন্য চেয়ে রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন কিংবা কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দিকে। সরকারি ভাবে শীত বস্ত্র বিতরণ শুরু হলেও বেসরকারি পর্যায়ে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কেউ শিতার্তদের পাশে দাঁড়ায়নি।
অপরদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘটে যানবাহন চলাচল করছে নিয়ন্ত্রিত গতিতে। দুরপাল্লার যানবাহনগুলোকে দিনের বেলা হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে দুর্ঘটনার আশংকা নিয়ে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। রংপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
অপর দিকে শীতজনিত রোগ বালাই বেড়ে যাওয়া কারণে প্রতিদিনই শিশু ও বৃদ্ধমানুষ মারা যাওয়ার খবর আসছে। সূত্র মতে গত কয়েক দিনে শীতজনিত রোগ নিমোনিয়া, শ্বাস কষ্ট জনিত রোগ-বালাই বেড়েছে কয়েকগুণ ।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, প্রতিদিনই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। এই সপ্তাহে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ