নরসিংদীর মনোহরদীতে ওরশে যাওয়ার পথে এক মাদরাসাছাত্রী গণধষর্ধণের শিকার হয়েছে। একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের সৈয়দেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানসহ চারজনকে আসামি করে মনোহরদী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান একই ইউনিয়নের গোখলা গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার জানায়, মেহেদী হাসান ওই ছাত্রীকে মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এতে বিরক্ত হয়ে বাড়িতে মাকে জানায় সে। পরে তার মা মেহেদী হাসানের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায় এবং উত্যক্ত না করতে ছেলেকে নিষেধ করতে বলেন। এ ঘটনায় মেহেদী আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
সোমবার রাতে বাড়ির নিকটবর্তী পাঁচ পীরের মাজারে বার্ষিক ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ওই ছাত্রীসহ তার পরিবারের লোকজন যায়। মধ্যরাতে প্রয়োজনে বাড়িতে আসে মাদরাসা ছাত্রী। পুনরায় ওরশে যাওয়ার পথে মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত আরও তিনজন তাঁর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক সৈয়দেরগাঁও বিলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে চারজন পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রাত আড়াইটার দিকে কান্না করতে করতে সে তার বাবা-মাকে জানায়। পরে বুধবার সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে মনোহরদী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে মেহেদী হাসানকে চিহ্নিত করছে ভুক্তভোগী। ঘটনার সঙ্গে বাকিদের সম্পৃক্ততা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ