নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল স্কুল ছাত্র সিয়ামের (১৩)। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্তে বাগাতিপাড়ায় অনুসন্ধান চালিয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে পরামর্শ ও সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে খেজুরের রস ও বাদুড়ে খাওয়া ফল না খেতে। সিয়াম বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের করমদোশী গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলামের ছেলে। সে দোবীলা ঊচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্বাস্থ্য দপ্তর ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কাঁচা খেজুরের রস খেয়ে সিয়াম নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। গত ১৭ জানুয়ারি নানা সাজেদুরের বাড়িতে গিয়ে খেজুরের রস খায়। এরপর থেকে সে সামান্য মাথাব্যথা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হলেও সে সুস্থ হয়নি। পরে গত ২৯ জানুয়ারি জ্বরের পাশাপাশি কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এরপরেই পরিবারের সদস্যরা ওইদিন রাতে পার্শ্ববর্তী পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ জানুয়ারি সিয়াম মারা যায়।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে স্থানীয় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। খেজুরের রস ও বাদুড়ে খাওয়া ফল না খাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। জরুরিভাবে শুক্রবার সব মসজিদে এই তথ্য প্রচার করতেও বলা হয়েছে।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. রোজি আরা খাতুন বলেন, সিয়ামের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে তার নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরে বৃহস্পতিবার ছয় সদস্যের আইইডিসিআরের দল ও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ মোট ১১ জন বাগাতিপাড়ার করমদোশীসহ আশে-পাশের কয়েকটি গ্রাম সরেজমিন পরিদর্শন করেন। আগামী তিন দিন আইইডিসিআরের সদস্যরা ওই এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন।
বিডি প্রতিবেদন/নাজমুল