নড়াইলে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া। রবিবার বিকেলে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমের জন্য পুরস্কার বিতরণ কর্মসূচি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খাজা মিয়া এসব দাবি তুলে ধরেন।
নিজ জেলায় মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সচিব খাজা মিয়া বলেন, নড়াইল বাংলাদেশের একটি অনগ্রসর জেলা হলেও, শিক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতি ও খেলাধূলায় এগিয়ে থাকলেও অদ্যাবধি কোন মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। জেলার বিপুল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার একমাত্র কেন্দ্রস্থল জেলা সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হিসেবে পরিচিতি থাকলেও বাস্তবে পূর্ণতা পায়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিধানমতে, জেলা শহরে ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থাকলে মেডিকেল কলেজের প্রক্রিয়া চালু করা সম্ভব। সেই হিসেবে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘোষণাতেই মেডিকেল কলেজে পরিণত হতে পারে নড়াইল সদর হাসপাতাল। এজন্য জেলার সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে একমত পোষণ করে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার সোচ্চার দাবি জানান তিনি।
এদিকে, এ জেলাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে জেলার বাইরে যেতে হয়। ফলে চরম বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ছেলেদের চেয়ে বেশী ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য জেলার বাইরে পাঠাতে চান না অভিভাবকরা। ফলে নড়াইলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে এমন দাবি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সরকারের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠানোসহ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আফরিন জাহানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ, কালিয়া পৌরসভার মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হীরা, জেলা পরিষদের সদস্য খান শাহীন সাজ্জাদ পলাশ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বীরমুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ