বরগুনার তালতলীতে বাল্যবিয়ের দায়ে কনের বাবা ও ছেলের ভাইকে ৭ দিন করে ও ঘটকের এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গ্রাম্য ইমাম ও হরিনখোলা মাদ্রাসার মৌলভীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।মঙ্গলবার গভীর রাতে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা উপজেলার তাতিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কনের বাবা সরোয়ার খান (৩৫), এলাকার ঘটক সেন্টু মৃধা (৫০) ও ছেলের ভাই ছাব্বির হোসেন (৩০)। গ্রাম্য ইমাম মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কাশেমকে বিয়ে পড়ানোর দায়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তাতিপাড়া এলাকার সরোয়ার খানের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে মোসা. তাবাসসুম (১৪) এর সাথে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আক্কেলপুর এলাকার নিজাম নাজিরের ছেলে রাব্বি (২২) এর সাথে ঘটক সেন্টু মৃধার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বরসহ বিয়ের আয়োজকেরা পালিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কনের বাবা, ছেলের ভাই ও ঘটককে আটক করেন।পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সিফাত আনোয়ার তুমপা ঘটক সেন্টুকে ১ মাস, মেয়ের বাবা সরোয়ার খান ও ছেলের ভাই ছাব্বিরকে ৭ দিন করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সাথে হরিণখোলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কাশেমকে বিয়ে পড়ানোর দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার তেতুলবাড়িয়া এলাকায় বাল্যবিয়ের আয়োজন চলাকালে অভিযান চালালে সকলে পালিয়ে যায়। এসময় মেয়ের বাবা সিদ্দিক হাওলাদারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিডি প্রতিদিন/এএ