কাদেরিয়া বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খান (নয়া মুন্সি)’র জানাজা নামাজে শরীক হয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘নয়া মুন্সি একজন মস্ত বড় মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে খালি হাতে একজন পাকিস্তানি হানাদারকে যে ধরেছিলো তার নাম নয়া মুন্সি। নয়া মুন্সি না হলে সখীপুরে মুক্তিযোদ্ধারা না খেয়ে থাকত। যুদ্ধের সময় একজন মুক্তিযোদ্ধারও এই অভিযোগ ছিলো না যে সে খেতে পায়নাই। তার অন্যতম প্রধান হলো নয়া মুন্সি। নয়া মুন্সিকে আমি আমার বন্ধু ভাবতাম-জানতাম। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর আমি নয়া মুন্সির হাতে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। তিনি (মওলানা ভাসানী) অনেক সম্মান করেছিলেন নয় মুন্সিকে।’
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সখীপুরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে নয়া মুন্সি’র জানাজা নামাজের পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম আরও বলেন, সখীপুরে আমার কাছে কোন আওয়ামী লীগ নাই, বিএনপি নাই, জামায়াত নাই, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নাই, সখীপুর আমার আত্মা। সখীপুরের সব মানুষ আমার, আমি সখীপুরের সবার।
এর আগে সখীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম নয়া মুন্সিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ শওকত শিকদার, পৗর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম সরকার লাল, চর্যাপদ গবেষক প্রফেসর আলীম মাহমুদ, সাবেক পৌর মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আব্দুল হামিদ খান নয়া মুন্সি ৭১এ কাদেরিয়া বাহিনীর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সখীপুর বাজার বণিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজের সহযোগী ছিলেন। তিনি শুক্রবার রাত ১২.২০ মিনিটের সময় পৌর এলাকায় তার নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিলো ১০২ বছর। তিনি মৃত্যুকালে তিন ছেলে ও চার মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল