১৭ মে, ২০২৩ ১৬:৪৭

অজ্ঞান করে লুটের ঘটনা ঘটেই চলছে মোরেলগঞ্জে

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি

অজ্ঞান করে লুটের ঘটনা ঘটেই চলছে মোরেলগঞ্জে

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে ও খাবারের সাথে চেতেনানাশক পদার্থ মিশিয়ে পরিবারের সকলকে অজ্ঞান করে লুটের ঘটনা ঘটেই চলছে। দুর্ধর্ষ এই দুর্বৃত্তরা মাসের মাস ধরে মোরেলগঞ্জে এমন ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫টি বাড়িতে সকলকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারগুলো তাদের জোটানো সকল সম্বল হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে। 

সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন বাবুল হাওলাদারের বাড়িতে। রাতের খাবার খাওয়ার পরে গৃহকর্তা বাবুল হাওলাদার (৫২), তার স্ত্রী লিলি বেগম (৪৩) ও ছেলে তানভীর (১৮) অজ্ঞান হয়ে ঘরের মধ্যে পড়ে থাকে। এ সুযোগে ওই দুর্বৃত্তরা ঘরে তিন দিক থেকে ৩ টি সিঁদ কেটে ঘরের ৩ বারান্দায় প্রবেশ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি হতে এ পর্যন্ত ১৪টি বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রেতে আহত হয়ে নারী ও শিশুসহ ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। অজ্ঞান করে চুরি বা লুটের এমন ধারাবাকিতা চলতে থাকায় আতঙ্কে দিন কাটছে গোটা মোরেলগঞ্জবাসির। এ ধরণের ঘটনায় পুলিশ জড়িত থাকার দায়ে বা সন্দেহে আজ অবধি কাউকে আটক করতে পারেনি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেন। ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় অভিযোগ দায়েরও করেন। কিন্তু, এমন ঘটনায় থানায় কখনোই কোন মামলা রেকর্ড হয়নি। এবং এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণও করতে পারেনি পুলিশ।  

এ সম্পর্কে থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, রাতভর থানা পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। বড় এলাকা হওয়ায় সর্বত্র নজর দেওয়া সম্ভব হয়না। যে সব ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর আছে। কেউ মামলা করতে রাজি হয়না। তবুও সাধ্য অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অব্যাহত আছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর