১৭ মে, ২০২৩ ২১:৩০

শরীয়তপুরে আকস্মিক ঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরে আকস্মিক ঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত

শরীয়তপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘর-বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের মীর আলী মাদবরকান্দি এলকায় অবস্থিত বড়কান্দি মডেল একাডেমি ও ৭ নম্বর বড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি ঘরের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঝড়। 

বুধবার বেলা ১১ টার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শরীয়তপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায়। ১০-১২ মিনিট স্থায়ী ওই ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে গাছ-পালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর সদর, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও ডামুড্যা উপজেলার ওপর দিয়ে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। 

জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের মীর আলী মাদবরকান্দি এলকায় অবস্থিত বড়কান্দি মডেল একাডেমি ও ৭ নম্বর বড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি টিনের ঘরের চালা উড়ে যায় ঝড়ে। ঝড়ের সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলছিল। হঠাৎ এমন পরিস্থিতি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আতংঙ্কিত হয়ে পড়ে। 

জাজিরার ৭ নম্বর বড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ ফোনে বলেন, বেলা ১১টার দিকে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে আসে। ঝড়ে আমাদের বিদ্যালয়ের দুটি টিনের চালা ও বেড়া খুলে যায়। বিদ্যালয়ের পাশে বড়কান্দি মডেল একাডেমির একটি টিনের ঘরের চালা ঝড়ে উড়ে গেছে। আমাদের বিদ্যালয় দুটি নদী ভাঙ্গনের শিকার। এ কারণে নদীর তীরবর্তী এলাকায় টিনসেটের ঘর নির্মাণ করে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। ঝড়ে চালা ও বেড়া উড়িয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছে। 

শরীয়তপুর সদর ও ভা. জাজিরা উপজেলার নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ১১টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে  জারিরা উপজেলার  জাজিরা ইউনিয়ন, বিলাসপুর ,পালেরচর ইউনিয়ন,পূর্বনাওডোবা ও নাওডোবা ইউনিয়ন ২২৪টি সম্পূর্ণ ও আংশিক ২৪ ঘর ক্ষতি হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে সরকারিভাবে ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে। 

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, বুধবার বেলা ১১ টার দিকে ঝড় -বৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ও কাঁচা ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হতে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ও  জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ বেশি হলে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে দ্রুততম সময়ে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর