শিরোনাম
২৯ মে, ২০২৩ ১৫:৩৫

গাছে গাছে ঝুলছে রসালো ফল কাঁঠাল

নীলফামারী প্রতিনিধি:

গাছে গাছে ঝুলছে রসালো ফল কাঁঠাল

শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি গাছের বুক চিড়ে মগডাল পর্যন্ত থোকায় থোকায় ঝুলছে রসালো ফল কাঁঠাল। গ্রাম-বাংলার গ্রীষ্ম মৌসুমের অন্যতম জনপ্রিয় পুষ্টি সমৃদ্ধ রসালো ও জাতীয় ফল কাঁঠাল। এ ফলটির সুমিষ্টি ঘ্রাণে মাতোয়ারা করে তুলেছে নীলফামারীর গ্রামীণ জনপথ। গ্রামীণ সড়কের ধারে, পুকুরপাড়ে, বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে রোপিত গাছ কাঁঠালে কাঁঠালে ভরে উঠেছে। এ যেন প্রকৃতির দেয়া অপরুপ সৃষ্টি। 

অনুকূল আবহাওয়ায় এবার কাঁঠালের ভাল ফলন হয়েছে। কাঁঠাল গাছে প্রাকৃতিক নিয়মে পাকে। পরিচর্যা এবং কোন কীটনাশক বা ফরমালিন প্রয়োগ করতে হয় না।
ডোমার উপজেলার কৃষক বাসু দেব রায় বলেন, কাঁঠাল পাকার পর এর সুমিষ্টি গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠে চারদিক। এর স্বাদ নিতে গাছে গাছে ভিড় করে  নানা পাখপাখালি ও মধু পিয়াসি কীট পতঙ্গ।  
সৈয়দপুর উপজেলার কাঠাল চাষী আকাসুদ্দৌলা বলেন, কাঁঠাল তরকারি হিসেবে প্রোটিন সমৃদ্ধ কাঁচা কাঁঠাল এবং বিচি মাংস, সবজির সাথে রান্নাসহ বিচি পুড়িয়ে বা ভেজে ভর্তা বাঙ্গালীর ঐতিহ্যপূর্ণ মুখরোচক খাবার। কাঁঠালের কোন অংশই পরিত্যক্ত থাকেনা। কাঁঠালের উচ্ছিষ্টাংশ (কাঠালের চাপি) গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
সৈয়দপুর আসমতিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল আলম শাহ বলেন, কাঁঠাল একটি সুস্বাদু ও গ্রীস্মকালীন ফল। এটি আমাদের জাতীয় ফল। কাঠাল কাঁচা থাকা অবস্থায় আমরা খাওয়া শুরু করি। কাঁঠাল যখন পরিপক্ব হয় তখন আমরা এটি সিদ্ধ করে খাই। গ্রামাঞ্চলের মানুষ  কাঠাল বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকে। এছাড়াও কাঠালের বিচি রান্না করে খাওয়া যায়। 

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কাঁঠাল একটি জাতীয় ফল। নীলফামারী জেলার মাটি ও আবহাওয়া কাঁঠাল চাষের জন্য উপযোগী। গত বছর জেলায় ১২৮ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল আবাদ হয়েছিল। যার উৎপাদন প্রায় ৭ হাজার ২৮ মেট্রিক টন। এখানকার কাঁঠাল বিশেষ করে দক্ষিনাঞ্চলে প্রচুর বিক্রি হয়। যেহেতু কাঁঠাল বেশি দিন থাকে না। তাই সরকারি বা বেসরকারিভাবে এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে কৃষকেরা সুবিধা পাবে এবং তারা আরো লাভবান হতে পারবেন। 
পাকা কাঁঠালে আন্টিঅকিডেন্ট ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ই ক্যালসিয়াম ফলিক এ্যাসিড রয়েছে। আছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের একটি ভাল উৎস। পটাসিয়াম থাকায় হার্টের গতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
      
বিডি প্রতিদিন/এএম

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর